আমি এক চিহ্নিত প্রস্তরখণ্ড ১(দীর্ঘ কবিতা) Poem by Soumen Chattopadhyay

আমি এক চিহ্নিত প্রস্তরখণ্ড ১(দীর্ঘ কবিতা)

আমি এক চিহ্নিত প্রস্তরখণ্ড ১
সৌম্যেন চট্টোপাধ্যায়


পাতার আড়ালে ধূসর বিবর্ণ ইতিহাস উড়ে যায় ছেঁড়া
মেঘের মতন। এই ভূখণ্ডের খণ্ডহীন ঘন নীরবতা
পাথুরে পাঁজর ভেদ করে ওঠে। নামগোত্রহীন মানুষের
রিক্ত কালোছায়ার রক্তিল স্মৃতিক্ষত অতলে তলিয়ে গেছে।
সামনে অহল্যাবাঈ সড়ক, প্রাচীন বেদনার জনপদ,
হরিমন্দিরের পাতকুয়ো, পিতৃপুরুষের গন্ধ, ভিটেমাটি,
বনবুড়ি, ক্রমশ একাকী লুপ্ত হয় বহুমাত্রিক অস্তিত্বে।
সৃষ্টির সন্ধ্যার কৃষ্ণ স্রোতে তারা মৃত্যু ও ধ্বংসের মুখোমুখি।
প্রিয় অর্ফিউস, আমার বিগত বিশ্বাসের এই গ্রামে শান্ত
প্রত্নগর্ভ থেকে জন্মভূমির শিকড় ছিঁড়ে মৃত্যু মায়া চক্রে
আমি এক চিহ্নিত প্রস্তরখন্ড; বাঁশি জানে সেই অভিমান!
রাখালি দেহের বাকলে কালের কান্না, লুণ্ঠিত নক্ষত্র সুর
জন্মান্তরে জন্ম দিয়ে গেলো অঙ্কুরিত পরাস্ত রক্তের পলি।
পৃথিবীতে পরাজিত মৃত্যুর মতন বহুদূর অন্ধকার
কোথাও তো নেই। জীবনের প্রগাঢ় স্থানাঙ্ক সতত অস্পষ্ট
হলে শরীরের বায়ু অবিরল টের পায় নিঃসঙ্গতা আর
মৃত্যুশব্দ যা গোপনে প্রচ্ছন্ন ছায়ার মতো অনর্গল ফাঁপা
হাড়ের ভেতর আমাদের ডেকে নেয় চেতনার খররৌদ্রে।
ধমনীতে স্রোতশীল এই সেই গ্রামদেবতার দেহাতীত
দেহরূপ ও সুপরিচিত ফসলের ঝরে পড়া দীর্ঘক্ষেত—
নদী - খাল - বিল - ডোবা - মাঠ বিস্ময়ের পর বিস্ময় জাগায়।
মনেপড়ে একদিন এখানের সাঁওতালি সন্ধ্যার জঠরে
অতীতের জনগোষ্ঠী দেখেছিল মাথার উপর ঋতুবতী
প্রেয়সীর ছায়াপথ, পাহাড়ি দুখের বৃহস্পতি, মৃগশিরা —
সূর্যাস্তের চিতার শরীরে মন্থর রোদনে জীবাশ্মের খেলা—
আর তারা দেখেছিল কালপুরুষের ভেতর রাষ্ট্রের নগ্ন
বড়শিতে বিঁধে থাকা বুনো বিষের অচেনা নখত্রমণ্ডল।
ডাহুকের গ্রামে মৃতবৎসা মায়ের সন্তান প্রীতির মতন
স্মৃতির আকাঙ্ক্ষা আজ ধূ - ধূ মৃত আত্মার কবিতা হয়ে ওঠে।



প্রাকৃত প্রবাহে আলুলায়িত আদিম অন্ধকারে জীবনের
ফাল্গুনে নারীর গর্ভে জন্মছন্দ গেঁথেছিলো মহুয়ার গন্ধে।
ঘর বেঁধেছিলো পাথরের খিলানে, রক্তের শাশ্বত স্বভাবে।
অজস্র তপস্যামন্ত্র পাহাড়ি জোড়ের সংকীর্ণ জলজ দেহে
বয়ে যায়। তিতিরের উদাসীন ডাক পড়ে থাকে মৃত মাঠে।
নিঃশব্দে শিকড় থেকে উঠে আসে অন্ধকারের অনন্ত জ্যোতি।
এই বাঁশঝাড়, কুলঝোপ, পলাশের আঁকাবাঁকা রুক্ষ বন
আদিবাসী বুকের ভেতর এক অজানা গভীর গোধূলিকে
জাগিয়ে জন্মের প্রখর নিস্তব্ধ ইথারের গূঢ় ইতিহাস
সময়কে ডুবিয়ে রেখেছে। তবু অবিরত সেই ঘুঘুবনে
আলোর কঙ্কাল আর পোড়া মাটির পাথুরে জননীর হাড়
রক্তরেনু অনস্তিত্বের সকল কাঠামোতে নিজস্ব বীজের
জন্মাধীন গন্ধে বেদনার অবশিষ্ট কিছু ছায়া রেখে গেছে।
প্রাচীন শিশিরে ভেজা সন্ধ্যার চড়ুই পাখিগুলি শূন্যতার
ওইপার থেকে উড়ে আসে। এমনি সে অদৃশ্য আত্মীয়;
শরীরের জলরঙ পৃথিবীতে ডেকেছে যাদের বারবার।
তাদের ধূসর ডানার বিস্তারে দূরের টিলার রোদ্দুরের
ক্লান্তি গেঁথে আছে। রুগ্ন পোড়া কঙ্কালের অশ্রু নিরীহ রাত্রির
উপত্যকা দিয়ে নেমে আসে। বীজের ভেতর অঘ্রান গ্রন্থির
প্রাণের প্রণয়চিহ্ন দেহকোষে আঁকা বিষাদ পথের স্পষ্ট
ইতিবৃত্ত সীমানা ছাড়িয়ে স্থবির রঙের গোপন গহবর
দিয়ে মিশে যেতে চেয়েছিলো রাষ্ট্রের সমস্ত সম্ভবে, বিকল্প
জীবনের মূল মুহূর্তের শক্ত অন্তপুরের বধির গাত্রে।
তারপর কল্পনা উৎসের দিকে যেতে গিয়ে দেখেছে স্মৃতির
ভেতর নরক ও ঈশ্বর পাশাপাশি নিজস্ব কবরে শুয়ে
আছে নিরুত্তাপ। দু - পাশের দুই হলুদ পৃথিবী মুখোমুখি
তাদের সহস্র আঙ্গুলের খুলির জন্মের প্রত্ন ছাপ নিয়ে
হেঁটে যায় সূর্যাস্তে জন্মান্ধ বিধবা মা পাখির শবের দেশে।
নুড়ি পাথরের কাঁকুড়ে আহ্বান রাত্রির কঠিন সাদাহিম
বাতাসে সকল পথের বক্রতা ছুঁয়ে ভেসে ওঠে চিরচেনা
শ্মশানের এলোমেলো নদীর অন্তরে। চিতার যে ছাই নম্র
প্রত্যাশায় সৃষ্টির ব্যথার শব্দে বেঁচে আছে তাদের ধোঁয়াটে
যুদ্ধক্ষেত্র গোপন অসুখে দামোদর - কংসাবতীর অনার্য
বুড়ি জলচরে নিঃশব্দে ঘুমিয়ে বিচ্ছিন্ন দৃশ্যের জন্ম দেয়।
মনভাঙ্গা নিশ্বাসের প্রতিধ্বনি স্বর্গ নরকের আদিগন্ত
অজ্ঞাত মৈথুনে নির্বংশের পশ্চিমে নিশ্চিহ্ন হয়ে উড়ে যায়
শুকনো খয়েরি শালপাতার মতন। সুবর্ণরেখার রুক্ষ
কিনারে আবার তারা সংসার পেতেছে গিরিবর্তের নিস্পৃহ
জটাজালে। বিস্তীর্ণ খরার অরণ্য অঞ্চলে করুন স্বপ্নের
প্রান্তদেশে বারংবার নেমে আসে আদিম জাতির মারাংবুরু।
পরেশনাথের স্বান্তনার সুদীর্ঘ স্নেহের পৃথিবীর রসে
সিক্ত হয়ে অনন্ত আকাশে ঘুরে ঘুরে আভাস্বর শালিধান
দিয়েছিলো গোধূলি বেলার বৃষ্টিযুগে। মুছে গেছে সেই সত্য।
নেগ্রেটো - অষ্ট্রিকদের দীর্ঘশ্বাস আত্মকথা বিকিয়ে গিয়েছে।
বহুদূর অন্ধকারে কন্ঠস্বর মিলিয়ে যাবার আগে তারা
তাদের জন্মের যন্ত্রণার নিঃস্ব অনন্ত দু - হাতে সন্তানকে
ভালোবেসে জড়িয়ে ধরেছে। আরো ঘনীভূত হয় নিষাদের
আড়ষ্ঠ জন্মের মর্মমূলে বঞ্চনার বিপন্ন বিশ্বের কথা।
প্রতিরাতে বেদনার অন্ধকূপে সময়ের কোলে আত্মজের
জন্ম দিয়ে কার্তিকের হিম হাহাকারে উঠোনে ধানের স্বপ্নে
শতছিন্ন কাঁথার আড়ালে নিজেকে ঢেকেছে পাহাড়ের গায়ে।
শতাব্দীর প্রিয় রোদ অপচয় করে তাদের বাঁচিয়ে রাখে
রাষ্ট্রের সময়। প্রতিদিন আলোর দৃশ্যকে এভাবে নিহত
হতে হয় একটি সুদীর্ঘ সূর্যমুখী অট্টালিকার মিনারে।
কুয়াশার পারে দেখেছে তাদের পূর্বপুরুষের প্রতিবিম্বে
শূন্যতা তাড়িত জীবনের আত্মহত্যার পিচ্চল গঠনের
অন্তর্বর্তী মাটি জ্যোৎস্না রাতের সীমান্তে তরল মৃত্যুর বনে
কেঁদেছে একাকী। তমাল তলের বিস্তৃত বুকের উষ্ণ ছোঁয়া
নিয়ে শালবৃক্ষগুলি মহাকাশ থেকে গভীর রাতের স্তব্ধ
নরম পলাশ ফুলে গৃহস্থের শালিকের মুখে ভাষা দিয়ে
তাদেরকে নিজেদের অনিবার্য সামান্য অস্তিত্বে টেনে আনে।
পৌষের পুরোনো পাখিরা তাদের আকাল শোকের শৈশবের
ঘরে ফিরে ঘুমন্ত মায়ের কৃষ্ণস্তনবৃন্তের বিভঙ্গ দেহ
রেখায় তিষ্ণার্ত মুখ রেখে পৃথিবীর নোনো অশ্রু পান করে।
সেইদিন আসন্ন গোধূলি সন্ধ্যার শিয়রে ফসলের শিস
খুদকুড়ো আর তর্পনের জল নিয়ে শুষ্ক ভূমির কাছেই
বেঁচে থাকা সমাধী গম্বুজ তাদের প্রাণের আত্মজের সাথে
মায়াময় বৃদ্ধ যোগরেখা রেখে যায় ঋজুপালিকার দেহে।
দূরের নক্ষত্র পর্ণকুটিরের কাছে এলে ধামসা মাদল
অটুট বাঁধনে জন্মান্তর বাঁশির করুন স্থবির বিশ্বাসে
কোনো এক ছিন্ন পথে একত্রিত সহবাসে শূন্যে মুক্ত হয়।

আদিম শিলার চোখের কোটরে এই শ্যাওলা গ্রহের বেলা
চলে যায় স্বেদঝরা শরীরের মর্মর ধ্বনির ভাঙ্গাগানে।
আমার মাটির গোপন ভূখণ্ডে প্রাক পূর্ণিমার আলপনা,
অতীত ঋতুর অন্তরঙ্গ ডাক— বহুদূর অরণ্য শিখরে
কাঁদে প্রিয়তর পর্ণশবরীর কাছে; একদিন রক্তসাঁঝে
যে কাঠকুড়ানি তাকে ভরেছিলো কাঁচা শালফুলের সুগন্ধে।
মৃদুভাষী তার আত্মার গোপন অবসাদে বিগত জন্মের
ছিন্নমূল রূঢ় হাহাকার, পাহাড়ি বাতাস প্রবীণ মধ্যাহ্নে
সমাধির ঘ্রাণ থেকে তুলে আনে সমিধের সেই আলোলিপি
যেখানে নির্ভুল দু - হাত মায়াবী যুবকের প্রত্ন গেরস্থালি
ভরেছিলো অন্তহীন মেঠোপথের প্রেমিক রোদ্দুরের শব্দে।
যৌবন হারানো প্রতিটি বিচ্ছিন্ন নদী রক্তের বন্ধনে ভেসে
পৃথিবীর সচ্ছলতা নিয়ে স্রোতে সংঘবদ্ধ হতে চেয়েছিলো।
আজ নাভিমূলে মন্থর আলোর মৃত মেঘ কাঁদে।অন্ধবীজ
কারা দিয়ে গেলো শূন্য করতলে! অনার্যের অশ্রু মুছে দিতে
প্রেরিত আকাশ নিয়ে গেলো কারা! অস্তিত্বের অভ্যন্তরে থেকে
সভ্যতার গর্ভানুর সুর চেয়েছিলো। বিষাদের আদি গ্রন্থি;
নীরব জরায়ু গর্ভে, জন্মভোরের মেরুন আলোয় নিহিত
অমৃত গানের আত্মার অন্তরে; মুখোমুখি হতে চেয়েছিলো
রৌদ্রের ভেতর। প্রপিতামহের ঋজু সুঠাম শরীরে হিম
কুয়াশায় জড়ানো, আবছা সন্ধ্যাগন্ধে ছেঁড়া কাঁথা,
ভাঙ্গাচোরা
দূর তরঙ্গের প্রতিচ্ছবি, হৃদয়ের চেতনায় পণ্য হয় ।

মৃত্যুর রহস্যলতা মনসাকাঁটার বেড়া থেকে উঠে এসে
উঠোনে দাঁড়ায়। মহাকাল ছায়াজালে সময় ও দূরত্বের
বিস্ময় নির্মাণ করে প্রতিমুহূর্তে অতীত হয়। শিকড়ের
স্তব্ধভূমি গাঢ় স্বরে মহুয়ার পাখিদের ডেকে নিলে দেখি
শরীরে আবদ্ধ রক্তদ্বীপ শুকনো পাতার মতো নিঃস্ব হয়ে
খসে যায়। সৃষ্টির গভীরতর শিল্প নিঃশব্দে মাটিতে ঝরে
শতখাতে। লাভাস্রোতে পার্বত্য কঙ্কাল দুঃস্থ প্রেমিকার চূর্ণ
মুখশ্রীর দৃশ্য এঁকে চিরন্তনী আত্মীয়তা দিয়ে বারবার
শব্দহীন উৎসের জটিল অস্তিত্বে ডেকেছে তার হেমন্তের
মেধাবী রাতের ব্যাকুল নক্ষত্র আলোয় নিষিক্ত আত্মপথে।
সেইদিন শ্মশানের মৃতনদী ধরে রাখে অতীত মায়ের
মায়াবী দেহটি। আর পাথরের খিলানে জলের অশরীরী
চোখ চরাচর জুড়ে রুক্ষ তটে পৃথিবীর আদিম বুড়ির
সঙ্গে দুঃখ বিনিময় করে অর্থহীনতার পরপারে বেঁচে
থাকার সফল গল্প শোনে এই সমুজ্জ্বল তীর্থের ভূমিতে।


দহনের ভ্রূণপুঞ্জের বিপন্ন বিকাশ কাঁকুরে শূন্যতার
স্থায়ী অন্ধকারে নিজেকেই নিজে দেখে। সীমা সময় ছড়িয়ে
কংসাবতী ভিটেমাটি পোড়া নির্বাসিত মানুষের শিলাবর্তে
বেঁচে থাকা হৃদয়ের কথা বলে। হারানো গ্রামের অন্ধকার
ধূসর বিষাদ, রূপাই নদীর জলে প্রেতের মতন ভাসে।
নিরুদ্দেশ শব্দের অতীত ছেঁড়াখোঁড়া প্রতিবিম্ব জেগে আছে।
অজস্র বিষন্ন জৈন মঠের মৌনতা পাথুরে মাটির দেশে
আজো ধ্যানমগ্ন ঋষির মতন এখানের জীবনের গূঢ়
মধ্যমণি ছুঁয়ে স্থিতপ্রজ্ঞ। শালের জঙ্গলে প্রপিতামহের
দুখের শিকড়ে কৈবল্যের প্রাগৈতিহাসিক চৈত্রের আকাশ
অতীত বৃষ্টির বিন্দু খোঁজে। এভাবে তাদের রাত্রি গাঢ় হয়।
নাম গোত্রহীন চেতনার এই দেশে বৈশালীনগর কাঁদে।


পাতাহীন অশ্বত্থের তলে শুকনো পাতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্থির
দীক্ষিত স্বপ্নের অসমাপ্ত ইচ্ছাগুলির হলুদ আর্তশব্দ
মন্থর সন্ধ্যার বিশীর্ণ বন্দিসে বাজে। বহু স্বাক্ষর বিহীন
শেষরাতে কোনো এক মৃত প্রাক্তন স্রোতের জনপদ তার
জীবনের নোনা ঘাম চেয়ে কেঁদে ওঠে। স্তব্ধ করোটি কঙ্কাল
আকাশের নিচে অতি ব্যক্তিগত বিপর্যয়ে অভাবী অস্তিত্ব
বাঁধনার অহিরা গানের সমবেত ঘুঙুরের বৃত্তে তারা
নিজেদের জাগিয়েছে পৃথিবীর স্বতঃস্ফূর্ত তরঙ্গের সুরে।
নদী ও নক্ষত্রে অন্তরীক্ষের নিশ্চল বিন্দুতে পল্লীর দেহে
অসংখ্য স্বাদের সূচনার ছবি যারা এঁকেছিল; সেইদিন
তারা শুষ্ক রাত্রির শরীরে ফিরে ফিরে আসে। সপ্তর্ষির হিম
দগ্ধছায়া জন্ম ও মৃত্যুর দু - পাশের শান্ত নিঃসঙ্গ উষ্ণতা
অনুভব করে কার্তিকের কাঙ্গালী আঁধারে মহামৃত্তিকার
দেহে উড়ে গিয়ে এক মাতৃচিহ্নের যুবতী উজ্জ্বল ধ্বনির
সচ্ছল ভেতরে কল্পতরুর জরায়ু গর্ভে জন্ম কথা ভাবে।

আমি এক চিহ্নিত প্রস্তরখণ্ড ১(দীর্ঘ কবিতা)
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Soumen Chattopadhyay

Soumen Chattopadhyay

Raghunathpur, purulia west Bengal
Close
Error Success