অন্তরীক্ষ থেকে নেমে আসে কার্তিক সন্ধ্যার নক্ষত্রনদী। গোধূলির ধুলো জল প্লাবনে ভেসে গেলো নাভিমূল দেহের ছাই।
ক্ষয়ে ক্ষয়ে আমার বিস্ময় বিস্তার এখন এখানে নির্বাসিত।
কাঁকুরে মাটির বুকে ঝরা ফুলগুলি শুয়ে আছে। এই দৃশ্যে বিবর্ণ স্বরের শব্দ শুনতে পাই। এই চিত্র নষ্ট নয়— বিপরীত স্রোতেরও নয়।
বিন্দু বিন্দু জীবনের স্বেদের সঞ্চয়।
নির্জন দ্বীপের অস্থির কল্লোল ডাকে, তুমি কোথায়! তুমি কোথায়! ঘুমন্ত শীতের বাঁশবনে একদিন শৈশব খেলছে।
সেই স্তব্ধতাকে অতিক্রম করে এই অরক্ষিত বনভূমি প্রতিধ্বনি ছড়ায় যেখানে দুখিত জল স্তূপাকারে স্মৃতি প্রবাহে বয়েছে।
তারপর একদিন কৃষ্ণা অষ্টমী রাত অন্তরীক্ষ টেনে আনে শালিধান ক্ষেতে। কার্তিক সন্ধ্যার নক্ষত্র নদীটি তখন বয়ে যায় শ্রুতি প্রতিশ্রুতির প্রার্থনা নিয়ে । ভেতরে আমার দুহাত নিজেকে নিজেই প্রণাম জানাই।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem