সব পথ আজ মিশে গেল এক পথে
সব মত এক হলো মুক্তির আহবানে!
বিষন্ন চারদিক, শোকাচ্ছন্ন সব মানুষ-
পথে প্রান্তরে নিথর দেহ,
দানবের বুলেটে কাঁদছে জুলাই আগস্ট এর-
প্রতিটি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।
আবু সাঈদ, তাহমিদ, শুদ্ধ-
বাবার কুলের অবুঝ সেই শিশুটি,
জানালার গ্রিল ধরা সেই মা-
ছাদের হাওয়ায় উড়তে চাওয়া বাচ্চাটি|
অব্যক্ত থাক ধর্ষিতা বোনের না বলতে পারা করুন আর্তনাদ,
সময় বলে দেবে সব, গোপন থাকেনি রাজা ইডিপাসের পাপ!
আমি পাললিক মাটির সন্তান, দুচোখ জুড়ে তাই এখনো আশা
নিজের কাছেই জিগাংসা- এসব কি তবে মুক্তির প্রসব বেদনা?
তবু মানুষ আমি আর পারছিনা নিতে-
নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশে কি অসহায় ছিল লুকিয়ে থাকা ছেলেটি!
তরুণের এই মহাকাব্য কি করে ভুলি?
তুমুল প্রচেষ্টা দানবের থাবা থেকে নিয়ে যেতে বন্ধুর অর্ধমৃত দেহটি!
একদিকে সশস্ত্র পিশাচ অন্যদিকে নিরস্র মুক্তির স্বপ্ন,
তারুণ্য আজ নিজেই বুঝি যুদ্ধের শিরোনাস্ত্র!
অনির্বাণ প্রত্যয় শিখা, মৃত্যুর আগে ওরা এনে দেবে;
লাশে লাশে হোক যত পুলিশের গাড়ি বুঝাই!
ওরা এনে দিয়ে গেছে অবশেষে নতুন সূর্যোদয়
আমাদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ: ৩৬ জুলাই!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem