কে না চায় দীর্ঘ আয়ুস্কাল, যেমনটা চাচ্ছি চুপে চুপে;
গন্তব্যে পৌঁছার প্রাজ্ঞ প্ররোচনায় বা অপ্রাজ্ঞ মায়াবলে!
স্বপ্নের লগি-বইঠা ঠেলেঠুলে আয়ুর নদী বেয়ে বেয়ে
এগুচ্ছি তাই সেই কবে থেকে গন্তব্যে
জীবনের প্রথমার্ধে গন্তব্যে পৌঁছাতে কত কথা
বিদ্যুৎ গতির ন্যায় অস্থির তাড়াহুড়া
বরফের মত দ্রুত ফুরাক ক্যালেন্ডারের দিন তারিখ
গন্তব্যের শেষে যে আছে রাজ্যের গুপ্তসুখ!
প্রভাত বেয়ে যে আলো তৃপ্তি নিয়ে দুপুরে হাসে
অপরাহ্ন এলেই বুঝে ফেলে অস্ত যাওয়ার মানে
জীবনের দ্বিতীয়ার্ধে শৃঙ্খলিত মনে তুলে নেই যত বাসনা
গোল হজম করা দলের মত চাই কেবল সময়ের ধীরতা
মন চায় ফটোগ্রাফের মত নিথর হউক পৃথিবীর গতি
মালামাল খালাস হলে নাবিকের আর কাজ কী!
তবু নাকি আশা আছে পৃথিবীর অতিক্রান্ত পথে
নাবিক পাবে ঘাটে ফেরার সুযোগ বহাল তবিয়তে
অন্তিমার্ধে গন্তব্যপ্রিয় মন নির্বিকার, নীড় চিনে ফেলায়
ফিরে কি খসে পড়া পাতা বা যে স্রোত গড়ায়?
ফিরতি পথ বলে কিছু নেই, সামনও নেই আয়ুর প্রবাহে
যা আছে মাটির কার্ণিশ, আঁধারি বার্ণিশ তাতে!
গন্তব্যের পর এ যেন ভিন্ন এক ঘরের সন্ধান
না চাইলেও একেকটা জন্মদিন লিখে যায় শোঁকতান।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem