ভূত্বকের এই আদিরূপ উপদ্বীপের প্রাচীন শিলামুর্তি
ক্ষয়ে ক্ষয়ে জীবনের জন্ম দিয়ে মিশে গেছে ক্ষয়িষ্ণু প্রান্তরে
অগ্নি উদ্গিরন শীতলের স্পর্শ পেয়েছিল কোয়েলের জলে
প্রাণের সমূহ স্রোত বহু রক্তশোকের ক্লান্তিতে মঞ্জুরিত
হয়েছিল আগামীর শাল জঙ্গলের শীর্ষ সফলতা জেনে।
বুনোলতাকুঞ্জ সেই শ্রমজলে সিক্ত হয়ে নিজেকে ক্রমশ
কায়ক্লেশে গেঁথেছে নিপুণ করে কাঁকুড়ে মাটির সোঁদাগন্ধে।
সম্ভ্রমের এমন কাহিনী খন্ডিত টিলার গ্রানাইট ত্বকে
উৎকীর্ণ হয়েছে হিমালয়ের বিপুল জন্মের ছন্দের আগে।
পোড়ামাটি তার একখন্ড জমির উপর চাষাবাদ সেরে
সোনালি রোদ্দুরে দাঁড়ায় সূর্যের অতি সামান্য অতিথি হয়ে
অনাবৃত পায়ে— অন্তরঙ্গ হতে। শস্যের অঙ্গের সৌকর্যের
কণ্ঠস্বরে তারা প্রপিতামহের অলৌকিক ডাক শুনেছিল।
রক্তের প্রবাহে স্বর্গের সংশয় ছিলনা কখনো— বঞ্চনার
সকল সময়ে আলিঙ্গনে প্রিয়তমা জাগিয়েছে জ্যোৎস্নারাতে
পলাশতলির প্রসন্ন বসন্তে।সমুদ্দুর খরার মাটিতে
নিজের পাঁজর ভেঙে ভেঙে কিন্নরী আবর্তে নিজেকে সঁপেছে
মৌনের হৃদয়ে ফসল ফলাতে— স্তব্ধ অন্তর্দাহ জেনেছিল
বিপ্রতীপ মুহূর্তের করুণ মৃত্যুর ছায়া প্রলয়ের পর
প্রকৃতির শুষ্ক স্নায়ুগাত্রে হৈমন্তিক শঙ্খধ্বনি বুনেছিল।
কুণ্ডলী পাকানো ফাল্গুনের হাহাকার অনন্তের দিকে আজো
অন্তর্হিত হয়— তবু আলোমাখা অন্ধকার মনে রয়ে গিয়ে
কোজাগরী পূর্ণিমার চিরন্তন আলপনা আঁকে আশ্বিনের
প্রশস্ত উঠোনে— যৌবনে রাতের স্বপ্ন আসে উজ্জ্বল গৌরবে
তারপর একদিন কান্নাভরা বৃষ্টি রাতে দিনাবসানের
দিন আমাদের নিয়ে যায় একাকী অজানা আকাশ গঙ্গার
ধ্বনিহীন দেশে— সেদিনও মর্ত্যের ধূলোয় স্নিগ্ধ স্মৃতি ক্ষত -
রক্তস্তব - প্রাণের বিগত কলরব নিহারিকা ছিন্ন এই
মুক্তবিশ্বে গ্রামীণ পথের মজ্জায় সৃষ্টির সমগ্র সঙ্কেত
রেখে যায়। নিদ্রতুর তরঙ্গজননী তার মহাজালে সেই
চিহ্ন সুগভীর আশঙ্কার দিনে দিয়ে যায় আত্মজের হাতে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem