এখানের এই অঘ্রান গোধূলি ঝরে পড়ে মৃত্যুর বিবরে
আমার আহত ঐশ্বর্যের চিরন্তন বেদনার গ্রামদেহ
বেঁচে থাকে অশ্রুমতী সেই শান্ত বিবরের প্রাচীন আদলে।
অরূপের ইতিহাস পোয়াতি ধানের জন্মগন্ধে ফিরে এসে
বীজের উৎসের দিকে গিয়ে রোদ্দুর ছড়িয়েছিল মানুষের
শূন্যাবর্ত ভরে দিতে; — দেখেছে সেখানে কুয়াশা রাতের ভিড়ে
দূরান্তের মাতৃ অন্ধকারে স্বর্গ আর নরকের দগ্ধগন্ধ
ছুঁয়ে গর্ভবতী মায়ের সুদীর্ঘ জঠরের হিম উপত্যকা
ছিঁড়ে ছিঁড়ে বহু অন্ধ পুরোহিত আমাদের ধূলিসাৎ করে
এক স্ফীত মিথ্যা পৃথিবীর বিবর্ণ গল্পের চেতনার রক্ত
ধমনীতে ছড়িয়ে দিয়েছে—আজ সাধকের ভূমি কেন্দ্রহীন।
ঈশ্বরের কঙ্কালের ছিদ্রপথে প্রেতের আকাঙ্ক্ষা মানুষের
মনে ঢুকে বন্যপশুর প্রতিভা নিয়ে অন্ধকারে অনায়াসে
আলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পাতালের গর্ভে আমাদের সিক্ত
আত্মার ভেতর বহু আমিষাশী ক্ষণের পিচ্ছল রক্ত মাংসে
দানবের জন্ম দিয়ে যায় আমাদেরই অনন্ত হৃদয় বৃত্ত
গভীর পিছনে রেখে আর তারই সব ফাঁক বেয়ে উঠে আসে
নিরন্তর বিপ্রতীপ অনুভূতির বিচিত্র কর্কট প্রদেশ।
তারপর সেইসব দানবের অবিচ্ছিন্ন দাঁতের অদ্ভুত
কোটরের আস্তাবলে গূঢ় হত্যার বাতাসে আমাদের স্থূল
মননের শরীর আবদ্ধ হলে মোড়কের শবের চিতার
ধোঁয়া চারপাশ ঘিরে বেয়াড়া জন্তুর মতো অসংখ্য ধ্বংসের
প্রতিশ্রুতি মিটিয়ে উল্লাসে নাচে অবিরল আত্মহননের
দৃশ্যে— রুক্ষ মরুছায়া স্রোতের ভূমিতে জন্মমৃত্যু, পূর্ণিমার
আকাশ, মাটিতে নাভির বিস্তারে আদিম প্রাণের অন্তহীন
জরায়ুতে ফিরে আসার অসীম আর্তনাদ দেখেছি তাদের
করোটি কঙ্কালে; — ফুরানো জীবন প্রতিধ্বনিময় পৃথিবীর
গন্ধ —মুখচ্ছবি —গৃহস্থের স্বাদ— ধূসর শীতের অভ্যর্থনা
চেয়েছিল তারা কোন এক স্মৃতির বিপন্ন রক্ত ক্ষরণের দিনে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem