_______
প্রথম পত্র
- - - - - 
বিষণ্নতা, চাইছি তোকে, আয়! 
অরণ্যে আজ কপাট খোলা আছে
স্বপ্নবাঁশি একাই বেজে যায়
কদমে নয়; দেবদারুটার কাছে
বিষণ্নতা, চুল বুঝি তোর খোলা! 
উতল-হাওয়ায় ঘোড়ার কেশর নাচে? 
হলুদ রঙের সেই শাড়িটা দোলা! 
ঝড়ো বাতাস দেখবি কেমন কাচে
দেখিনি তো কেমন সফেদ, বাতাস-কাচা শাড়ি
শাড়ির প্রতি এই প্রলোভন আর ছিলো না আগে
যেদিন জানি, শাড়ির ভেতর সমস্ত ঘর-বাড়ি
সেই থেকে না, আমার মনে এমন কাঁপন জাগে! 
বিষণ্নতা, আজ যদি যাই, তোর দেখা কি পাবো? 
যত্ন করে ওই শাড়িটাই পরিস আজকে রাতে! 
হাওয়ার নষ্টামীতে এলোমেলো না-হয় যাতে...
মাঝরাতে তোর ঘরে কিন্তু বাতাস সেজেই যাবে! 
দ্বিতীয় পত্র
- - - - - -
এবার তুমি এসেই দ্যাখো কাছে
গোধূলিকেই বানিয়ে নেবো ভোর
আয়ুর ভেতর বাস করি তো কী! 
আমরা কিন্তু ভীষণ আয়ু-চোর
ফাঁকা মাঠে দ্যাখো বাগানখানি
ঝুলছে কতো কঠিন হাওয়াফল
তৃষ্ণা নিয়ে বাড়ছি তাতেই কী! 
ধূলিমাঠও সাঁতার-সমান জল
স্বপ্নডানায় উড়েই এসো কাছে
দ্যাখো, মেলার মাটির পাখিগুলো
প্রাণের ছোঁয়ায় কেমন করে নাচে
তুমি এলেই স্বর্ণ হবে এখন যেসব ধুলো
এই ভূগোলে, একটি পথের সমগ্র বাতাসে
তোমার চুলের গন্ধ আজও ভাসে
তৃতীয় পত্র
- - - - - -
এই যে এখানে এতো ছোটাছুটি, মানুষের ভিড়, 
লোকালয়ে; নানা রোগ, অযুত-নিযুত হাহাকার...
ক্রমহ্রাসমান বনে শঙ্কিত পাখির চিৎকার
পাঁজরের মতো ব্যথা জমে ওঠা নদীর দুতীর
হয়তো এখানে আছো, কম্পমান নিরীহ খরগোশ
গর্তের ভেতরে মৃদু উঁকি মেরে থরথর কাঁপা, 
বৃক্ষেশস্যে জর্জরিত, অন্তরালে সীমাহীন ফাঁপা
এই মাঠে, একই পরিণতিময় গোধূলিপ্রদোষ।
অথবা এখানে আছো ডিজিটাল অতিছদ্মবেশ
বন্ধুতালিকার ভিড়ে অন্য কোনও সুচতুর নামে; 
প্রফুল্ল-প্রবাহ চেয়ে যখন নদীর দেহ দরদর ঘামে
তোমার মমতা যেন উন্নাসিক প্রতিবেশী দেশ।
চোখের আড়ালে থাকা মানেই কি চূড়ান্ত গমণ? 
তোমারই তো তেজারতি! বন্ধকী আমার এমন।
পুনশ্চ: 
- - -
তোমার দেশের সিঁদুর নদী লাল? 
মিসিসিপির স্রোতে দ্যাখো
আমারই কঙ্কাল
শোলার মতো হালকা এবং ভাসে; 
আরেক ঝড়ে উড়েও যেতে পারি
তোমার রেড রিভারের পাশে! 
তোমার দেশের সিঁদুর নদী কাঁদে? 
মিসিসিপির বাঁকে দ্যাখো
শক্ত আমার হাত
এক মায়াবী কেশের গোছায় বাঁধে; 
তার মানে তো প্রণয়ই সংঘাত! 
পুনঃপুনশ্চ: 
- - - - - 
কলমিলতা-বিলের পানি আর কী সাঁতার পাবে! 
সাঁতাল পাড়ার চড়কপুজা শেষ হলো সেই কবে! 
জটুর পুকুরপাড়ে
শাকচুন্নি মজমা বসায় বায়ান্ন ভাতারে
তুমি আমার হারিয়ে যাওয়া চড়কমেলায় যাবে? 
পাড়া-গাঁয়ে, উঠানজোড়া রাধাচূড়া হবে? 
_______
@ Rahman Henry                
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
কবিতা গুলি আমাকে স্পর্শ করলো দারুন ভাবে ।