অজলা নদীর
তীরে বসে আছি
একদিন জল
ছিল অবিরল
পিতৃপুরুষের
অস্থি, অন্ধকার আত্মকথা পুড়েছিল
ধূসর বিশীর্ণ এখানের বালুচরে
গোধূলির দুঃখমাখা সন্ধ্যা
ভেঙেচুরে মেঘপথে নামে
হিমশান্ত রাতে বসে আছি,
শত শত মৃত তারা হতে আলো আসে
ছুঁয়ে যায় মৃত্যু
জমে ওঠা দুঃখ
ঘুমের পিপাসা- ভাঙাঘর
শতচোখ শত স্বপ্নবিন্দু বহু অতৃপ্ত সঙ্গম
এখানে অস্ফুটে পুড়ে গেছে
দেখি, ক্ষীণতম স্মৃতিরেখা
আনমনে বয়ে যায় অজলা নদীর নাভিতলে
নির্বাক অন্তিম
সেই সুখটুকু
লেগে থাকে গূঢ় অস্তছায়ার জীবনে
বহুচেনা ছবিসুরে দেখেছি প্রাচীন অস্থিছাই
আত্মজের মাংস রক্তে ওড়ে অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে
সুদূরের ছায়াপথে পিতৃপুরুষের
গোপন আত্মার কথা অপশ্রিয়মান
সন্ধ্যার মরমী আলোর আঁধারে একাকী আমার
ক্ষয়িষ্ণু নিবিড় বুকের অতলে ভাসে
অজলা নদীর প্রত্নতীরে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem